৩১-১০-২০১৯ তারিখ রাজশাহী অঞ্চলে বোরো ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করনীয় শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা সাইন্স ল্যাবরেটরি হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো: শাজাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব কমলারঞ্জন দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ দেব দুলাল ঢালী, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. তমাল লতা আদিত্য, বিএমডিএ-এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুর রশীদ। আর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের সহযোগীতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দানাদার শস্য উৎপাদনের মাধ্যমেই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশে ধানের রোগ পোকামাকড় দমন করা গেলে কয়েক লক্ষ টন খাদ্য উৎপাদন সম্ভব। তাই সকলকে আরোও সতর্কভাবে ধান আবাদের দিকে খেয়াল করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান। তিনি ধান গবেষণা কর্তৃক গৃহিত বিভিন্ন পদক্ষেপ উল্লেখ করেন যা ভবিষ্যতে ধান আবাদে সুফল নিয়ে আসবে। তিনি আরোও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় খরাসহিষ্ণু প্রোটিন সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৭১ রাজশাহী অঞ্চলের চাষিদের ভাগ্য বদলাবে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট হতে উদ্ভাবিত এই ধান চাষে সময় ও খরচ দুটোই কম লাগে, আবার ফলন বেশি পাওয়া যায়।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ধানের রোগ পোকামাকড় দমন করলে আমাদের দেশ আরোও এগিয়ে যাবে। তিনি ব্লাস্ট রোগের বিষয়ে বেশ গুরত্ব দেন। এ সম্পর্কে বলেন, যে সমস্ত জমিতে ব্লাস্ট দেখা দিবে সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ না করা উত্তম। এবছর যে সমস্ত জাতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিবে সম্ভব হলে আগামী বছর সেই সমস্ত জাতের ধান চাষ না করা। এছাড়া তিনি বলেন, আধুনিক বোরো জাত গুলি চাষাবাদের জন্য কৃষকদের আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, ধানের রোগ গুলো ফলন শতকরা ১০-১৫ ভাগ কমিয়ে দেয়। তাই ধান চাষে ক্ষতিকর রোগ পোকা সঠিকভাবে নির্নেয় করে তা দমনের ওপর গুরত্ব প্রদান করেন।
কর্মশালায় রাজশাহী কৃষি অঞ্চলের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, কৃষক, মিল মালিক, সংবাদিক সহ প্রায় প্রায় ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।